একটি মিষ্টি স্বপ্নের গল্প
একদিনের কথা। ছোট্ট একটি গ্রামে বাস করত রিয়া নামের এক মেয়ে। রিয়ার বয়স মাত্র দশ বছর। সে খুবই মিষ্টি ও প্রাণবন্ত ছিল। তার ছোট্ট ঘরটির পাশেই ছিল একটি সুন্দর বাগান। প্রতিদিন সকালে সে বাগানে গিয়ে ফুলের সাথে কথা বলত, পাখিদের গান শুনত।
রিয়ার সব থেকে প্রিয় ছিল তার ঠাকুরমা। ঠাকুরমা তাকে নানা রকম গল্প শোনাতেন। সেই গল্পগুলোতে ছিল রাজা-রানী, ড্রাগন, বীর যোদ্ধা আর যাদুকরী। রিয়া সবসময় মুগ্ধ হয়ে সেই গল্পগুলো শুনত।
একদিন, রিয়া তার ঠাকুরমার কাছে এসে বলল, "ঠাকুরমা, আমি একদিন রাজকন্যা হবো। আমি রাজপ্রাসাদে বাস করব, আর আমার অনেক বন্ধু থাকবে।" ঠাকুরমা হেসে বললেন, "হ্যাঁ মা, তুমি রাজকন্যা হবেই। কিন্তু মনে রেখো, সত্যিকারের রাজকন্যা হওয়া মানে শুধু প্রাসাদে থাকা নয়, বরং সবাইকে ভালোবাসা এবং সাহায্য করা।"
রিয়া তার ঠাকুরমার কথা মনে রেখে একদিন ঘুমিয়ে পড়ল। সেদিন সে একটি মিষ্টি স্বপ্ন দেখল। স্বপ্নে সে সত্যিই রাজকন্যা হয়ে গেল। তার চারপাশে ছিল এক অপূর্ব রাজপ্রাসাদ, যেখানে ফুলের বাগান, ঝর্ণা আর পাখির গান ছিল।
রিয়া দেখল যে, রাজপ্রাসাদে সবাই তাকে ভালোবাসে এবং সম্মান করে। সে তার রাজ্যের সবাইকে সাহায্য করত, তাদের সমস্যার সমাধান করত। একদিন, রাজ্যে এক ভয়ঙ্কর ড্রাগন আক্রমণ করল। সবাই ভয়ে পালাতে লাগল। কিন্তু রিয়া ভয় পায়নি। সে তার বুদ্ধি ও সাহস দিয়ে ড্রাগনকে পরাস্ত করল। রাজ্যের সবাই আনন্দে চিৎকার করল এবং রিয়াকে বীর হিসেবে গ্রহণ করল।
সকালে ঘুম থেকে উঠে রিয়া তার ঠাকুরমাকে সব বলল। ঠাকুরমা হেসে বললেন, "দেখেছো মা, স্বপ্নেও তুমি তোমার ভালোবাসা এবং সাহস দিয়ে রাজকন্যা হয়েছো।" রিয়া খুশিতে ঝলমল করল এবং জানল যে, সে সত্যিকারের রাজকন্যা হতে পারে যদি সে সবার জন্য ভালো কাজ করে।
এই গল্পটি রিয়ার জীবনে একটি নতুন শিক্ষা এনে দিল। সে বুঝল যে, সবার জন্য ভালো কাজ করাই সত্যিকারের রাজকন্যার কাজ।
এভাবেই রিয়া তার ছোট্ট গ্রামে সবার ভালোবাসা পেতে শুরু করল। সে জানত যে, সে সত্যিকারের রাজকন্যা হয়েছে।
শেষ।