শান্তির সকাল
প্রাচীন বাংলার একটি শান্তিপূর্ণ গ্রামের ভোরবেলা। আকাশের কোণে রঙিন আভা, সূর্যের কিরণ এখনো পুরোপুরি ছড়ায়নি। গ্রামের প্রতিটি কোণে কোণে স্থাপন করা হয়েছে কিছু খড়ের ছাউনি ঘর, যার প্রতিটিই যেন এক একটি শিল্পকর্ম।
গ্রামের একপ্রান্তে বয়ে চলেছে একটি সরু নদী, নদীর তীরে বাঁধা রয়েছে ছোট ছোট নৌকা। নদীর পাড়ে জড়ো হয়েছে কিছু মহিলা, তারা কলসিতে পানি ভরছে। পুরুষেরা তখন তাদের মাছ ধরার জাল প্রস্তুত করছে, কেউ কেউ নৌকার উপর বসে মাছ ধরার আয়োজন করছে।
শিশুরা খোলা মাঠে দৌড়ঝাঁপ করছে, তাদের কলরব ভরে তুলেছে চারপাশের পরিবেশ। সবুজ ধানের ক্ষেতের মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে লম্বা নারকেল গাছ, বাতাসে দোল খাচ্ছে তাদের পাতা। গ্রামের প্রতিটি ধুলোমাখা পথে রোদ্দুরের সোনালী আলো ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রকৃতির এই অপূর্ব সৌন্দর্য্য যেন গ্রামের প্রতিটি মানুষের মনে শান্তি এনে দিয়েছে। তাদের জীবনযাত্রা খুব সাধারণ, তবুও তাতে মিশে আছে এক অদ্ভুত মাধুর্য্য। এখানকার প্রতিটি সকাল নতুন এক দিন শুরু করার বার্তা নিয়ে আসে, নতুন স্বপ্ন দেখার আমন্ত্রণ জানায়।
গ্রামের এই জীবনের প্রতিটি ছোট ছোট ঘটনা যেন জীবনের এক অমূল্য শিক্ষা। প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে এখানে মানুষ খুঁজে পায় প্রকৃত সুখ। শান্তির এই সকালে সবকিছু যেন থমকে দাঁড়িয়েছে, সময় যেন এখানে বন্ধ হয়ে গেছে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এখানে আনন্দের, প্রতিটি ক্ষণ এখানে আশীর্বাদের মতো।