রূপকথার রাজকুমারী
এক ছিল এক রাজ্য, যেখানে সবাই সুখী ছিল। সেই রাজ্যের রাজা ছিলেন এক মহান শাসক। কিন্তু তার একমাত্র দুঃখ ছিল যে, তার কোনো সন্তান ছিল না। তিনি ও তার রাণী অনেক প্রার্থনা করলেন, অনেক তীর্থ ভ্রমণ করলেন। অবশেষে, একদিন রাজকুমারীর জন্ম হলো। রাজকন্যার নাম রাখা হলো অরুণা।
অরুণা ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী ও সুন্দরী ছিল। রাজা ও রাণী তাকে অনেক ভালোবাসতেন। রাজ্যের প্রজারাও তাকে অনেক পছন্দ করতেন। অরুণা বড় হয়ে গেল। একদিন সে বনে হাঁটতে গিয়ে এক বৃদ্ধাকে দেখতে পেল। বৃদ্ধা খুবই ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত ছিল। অরুণা তাকে জল ও খাবার দিল। বৃদ্ধা খুব খুশি হলেন এবং আশীর্বাদ করলেন, "তুমি খুব ভালো মেয়ে। তোমার জীবনে সব সুখ ও শান্তি আসুক।"
কিছুদিন পরে, রাজ্যে এক বিরাট উৎসব হলো। বিভিন্ন রাজ্য থেকে রাজকুমারেরা এসেছিল রাজকন্যার সঙ্গে দেখা করতে। সেই সময় এক রাজকুমার, নাম ছিল অনিরুদ্ধ, তিনি অরুণার সৌন্দর্য ও মেধায় মুগ্ধ হলেন। অরুণা ও অনিরুদ্ধ একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করল। রাজা ও রাণীও এই সম্পর্ক মেনে নিলেন। রাজ্যে বেজে উঠলো বিয়ের ঢাক।
বিয়ের দিন এলো। রাজ্যজুড়ে আনন্দের বন্যা। অরুণা ও অনিরুদ্ধের বিয়ে সম্পন্ন হলো। তাদের জীবনে সুখ-শান্তির কখনো অভাব হলো না। অরুণা রাজ্যের প্রজাদের জন্য অনেক ভালো কাজ করতেন। তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠা করলেন, গরীবদের সাহায্য করতেন এবং রাজ্যের উন্নয়নে অনেক অবদান রাখতেন।
একদিন, অরুণা ও অনিরুদ্ধ রাজপ্রাসাদের বাগানে হাঁটছিলেন। হঠাৎ তারা সেই বৃদ্ধাকে দেখতে পেলেন, যিনি একদিন অরুণাকে আশীর্বাদ করেছিলেন। বৃদ্ধা বললেন, "তোমার ভালো মন ও কাজের জন্যই তুমি এত সুখী হয়েছ। সব সময় এভাবেই ভালো কাজ করে যাও।"
রাজকুমারী অরুণা ও রাজকুমার অনিরুদ্ধ সুখে-শান্তিতে তাদের জীবন কাটাতে লাগলেন। তাদের রাজ্যে সব সময় আনন্দ ও শান্তি বিরাজ করত। আর অরুণার ভালো কাজের কথা সবাই মনে রাখত।
এই রূপকথার রাজকুমারী আমাদের শিখিয়ে গেলেন যে, ভালো কাজ ও মানবিকতা সব সময় জীবনে সুখ ও শান্তি এনে দেয়।