ভালোবাসার শেষ বিকেল (The Last Evening of Love)
একটি সুন্দর বিকেলের গল্প, যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে রক্তিম বর্ণ ধারণ করছে, তখনই শুরু হয়।
শুরু
সীমান্ত গ্রামের এক নির্জন রাস্তার ধারে হেঁটে যাচ্ছিল অনির্বাণ। তার মন বিষণ্ণ, মাথায় হাজারো চিন্তা। বেশ কিছুদিন হলো সে শহরে চাকরির খোঁজে গিয়েছিল, কিন্তু ফিরতে হলো খালি হাতে। হঠাৎ তার চোখ পড়ল এক ঝলক সবুজ শাড়ি পরা মেয়েটির দিকে, নাম তার মেঘনা।
মেঘনা
মেঘনা গ্রামের এক সাধারণ মেয়ে, কিন্তু তার সৌন্দর্য ছিল অসাধারণ। সে সবসময় তার বাবার কাজে সাহায্য করত এবং গ্রামের মানুষের সেবা করত। মেঘনার চোখে চোখ পড়তেই অনির্বাণের হৃদয় যেন এক লহমায় দ্রবীভূত হলো।
প্রথম দেখা
গ্রামের পূজার দিন ছিল। অনির্বাণ এবং মেঘনার প্রথম দেখা হয় সেই মেলায়। দুজনেরই চোখে-মুখে ছিল স্বপ্ন, নতুন জীবনের আশা। তারা একে অপরের সাথে কথা বলার সাহস পায়নি, কিন্তু মনের মধ্যে ভালোবাসার বীজ বপন করেছিল।
বন্ধুত্বের শুরু
মেঘনা যখন গ্রামের পাঠশালায় পড়াশোনা করছিল, অনির্বাণ তখনই তার পাশে এসে দাঁড়ায়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তারা একসাথে সময় কাটাতো, স্বপ্নের কথা বলতো, এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতো।
প্রেম
এক সন্ধ্যায়, অনির্বাণ মেঘনাকে বলল, "মেঘনা, আমি তোমার সাথে সারাজীবন কাটাতে চাই। তুমি কি আমার সাথে থাকবে?" মেঘনা লাজুকভাবে মাথা নেড়ে বলল, "হ্যাঁ, অনির্বাণ, আমি তোমাকে ভালোবাসি।"
বাধা
কিন্তু তাদের প্রেমের গল্প সহজ ছিল না। মেঘনার বাবা চেয়েছিলেন মেঘনার বিয়ে বড়লোকের ছেলের সাথে হোক। অনির্বাণ ছিল একজন সাধারণ যুবক, যার জীবন সংগ্রামেই কাটত। এই কথা শুনে অনির্বাণ খুবই দুঃখ পেল, কিন্তু সে হাল ছাড়ল না।
সংগ্রাম
অনির্বাণ নিজের পরিচিতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করল। সে কঠোর পরিশ্রম করে একদিন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করল। মেঘনা তার পাশে ছিল, তার প্রেরণা ছিল।
শেষ বিকেল
অনির্বাণ একদিন গ্রামের প্রান্তে মেঘনাকে নিয়ে গেল। সূর্য ডোবার ঠিক আগে, সে মেঘনাকে বলল, "মেঘনা, আজকের এই শেষ বিকেলটা আমাদের জন্য। আমি তোমাকে নিয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছি।"
মেঘনা মৃদু হাসল। "অনির্বাণ, আমি তোমার পাশে আছি। আমরা একসাথে থাকবো, আমাদের ভালোবাসা অটুট থাকবে।"
শেষ
সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে ডুবতে শুরু করল, তখন অনির্বাণ এবং মেঘনা একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইল। তাদের চোখে ছিল নতুন জীবনের আলো। তাদের ভালোবাসার গল্প ছিল এক নতুন সূর্যের আগমনী বার্তা।