চিরন্তন প্রেমের ছায়া

 



বিকেল বেলার সোনালি আলোয় গোটা গ্রামটা যেন ঝলমল করছে। গ্রাম বাংলার একটি ছোট্ট প্রান্তে বিশাল একটি বটগাছের নিচে বসে আছে দুই তরুণ-তরুণী। মেয়েটির নাম রুপা, আর ছেলেটির নাম অর্ক। রুপা পরেছে লাল পাড় সাদা শাড়ি, অর্কের গায়ে সাদা কুর্তা। তারা দুজনই পরস্পরের দিকে গভীর ভালোবাসায় তাকিয়ে আছে।

রুপা আর অর্ক একে অপরকে খুব ছোটবেলা থেকে চিনত। তারা একই গ্রামে বড় হয়েছে, একই স্কুলে পড়েছে। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়। তাদের ভালোবাসা ছিল খুবই সহজ এবং স্বতঃস্ফূর্ত, ঠিক গ্রামের নির্ভেজাল জীবনের মতো।

একদিন অর্ক বলল, "রুপা, তুমি জানো, তোমার সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়।" রুপা হেসে বলল, "আমিও তোমাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না, অর্ক।" তাদের এই ছোট ছোট কথা, মিষ্টি মধুর মুহূর্তগুলোই ছিল তাদের জীবনের বড় সম্পদ।

তাদের ভালোবাসার গল্প গ্রামের সবার মুখে মুখে ফিরত। গ্রামবাসীরা বলত, "রুপা আর অর্কের প্রেমে যেন একটা আলাদা জাদু আছে।" তারা এই প্রেমকে দেখত যেন চিরন্তন রূপে।

একদিন বিকেলে, তারা বটগাছের নিচে বসে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছিল। অর্ক বলল, "রুপা, আমি চাই আমাদের জীবনটা এমনই সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ থাকুক।" রুপা বলল, "হ্যাঁ অর্ক, আমরা একসঙ্গে সবকিছু পারব।" তাদের এই স্বপ্নের কথা শুনে প্রকৃতিও যেন হাসছিল।

তাদের ভালোবাসা শুধু তাদের জন্য নয়, পুরো গ্রামের জন্যই এক প্রেরণা হয়ে দাঁড়াল। তাদের দেখে গ্রামবাসীরা শিখল যে সত্যিকারের ভালোবাসা হল পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান আর একে অপরের প্রতি যত্ন নেওয়া।

রুপা আর অর্কের প্রেমের গল্প আজও গ্রামের মানুষদের মুখে মুখে ফেরে। তাদের প্রেম যেন বটগাছের ছায়ায় চিরদিনের জন্য বেঁচে থাকে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Popular Posts